অন্ধজনে আলো দেন আলোহীন সঞ্জিত
চোখের আলো নেই; কিন্তু মনের আলো নেভায়, সাধ্য কার! মনের আলোতেই ৪৫ বছর ধরে এ মানুষটি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। পরে ভালো ফলও করছে তারা। তাই তো শ্রদ্ধাভরে সবাই তাঁকে ডাকেন সঞ্জু ঠাকুর নামে।
তাঁর আসল নাম সঞ্জিত চক্রবর্তী। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক অসচ্ছল পরিবারে জন্ম তাঁর। ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার সময় হঠাৎ চোখে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সুচিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যান তিনি। সেই থেকে শায়েস্তাগঞ্জের গঙ্গানগর গ্রামে, মামার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সেখানে থেকে খুদে শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম হয়ে ওঠেন সঞ্জিত চক্রবর্তী ওরফে সঞ্জু ঠাকুর।
৬৮ বছর বয়সী এ শিক্ষক জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়েও অকাতরে জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী জড়ো হয় তাঁর উঠোনে। তাঁর কাছে শিক্ষার হাতেখড়ি নিয়ে এ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। আর সম্মানী হিসেবে যে যা দিতে পারে, তাই নিয়ে খুশি সবার প্রিয় এ শিক্ষক।
যতদিন বেঁচে থাকবেন, শিক্ষার প্রদীপ জ্বেলে যেতে চান মানুষ গড়ার এ কারিগর।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও মৌলভীবাজারের এম উমেদ আলীর পাঠানো তথ্য ও ছবি নিয়ে বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে :