পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামে আজ সোমবার জনি তালুকদার (২৮) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
নিহত জনি উপজেলার হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতীকের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন জানান, গুলিশাখালী গ্রামের মৃত আবদুল হাতেম তালুকদারের ছেলে জনি আজ সকালে বাড়ি থেকে গুলিশাখালী বাজারে আসছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের লোকজন তাঁকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে জনি মঠবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের দল থেকে আলাদা হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের সঙ্গে যোগ দেন। এ ঘটনায় মেয়রের লোকজন তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। গত শনিবার রাতে উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশাররফ সাকুর লোকজনের ওপর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজের লোকজন হামলা করে। এ হামলার জের ধরেই আজ সকালে জনিকে হত্যা করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার জানান, পূর্ববর্তী হামলার জেরেই জনিকে হত্যা করা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌসের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আশরাফুর রহমানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আশরাফুর রহমান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। চতুর্থ ধাপে আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরের সাতটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।