মিজু আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ গুণী অভিনেতা মিজু আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে বিএফডিসিতে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের। বাদ আসর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে এ আয়োজন করা হয়েছে। এফডিসির শিল্পী ও কলাকুশলীদের সঙ্গে মিলাদে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘গুণী অভিনেতা মিজু ভাইয়ের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি। সকাল থেকে কোরান খতম চলছে। তিনি যেখানেই তাকুক আল্লাহ যেন ভালো রাখেন।আমাদের সমিতির ঘরে বাদ আসর এই মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, চলচ্চিত্রকর্মী ছাড়াও মিজু ভাইয়ের ভক্তরাও মিলাদে অংশ নেবেন।’
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘আমাদের শিল্পী সমিতির সভাপতি ছিলেন মিজু ভাই। তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক। অভিনয়গুণ নিয়ে বলার কিছু নেই, নিজের কাজ দিয়ে তিনি দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার অভিনয় দেখে আমার মতো অনেক শিল্পী অনুপ্রাণিত।’
গত ২০১৭ সালে ২৭ মার্চ আজকের এই দিনে সোমবার রাত ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন মিজু আহমেদ। ট্রেন তেজগাঁও স্টেশনে যাওয়ার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাঁকে বিমানবন্দর স্টেশনে নামিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। কুষ্টিয়ার কোটবাড়ীতে মা-বাবার পাশে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।
মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম আবুল মোহাম্মদের দুই মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে মিজু আহমেদ ছিলেন সবার ছোট। বড় ভাই মরহুম লতিফুর রহমান, মেজ ভাই অ্যাড. আনিচুর রহমান। সবার আদরের ছোট ছেলে ছিলেন মিজু আহমেদ।
চলচ্চিত্রে মিজু আহমেদ হলেও তার প্রকৃত নাম মিজানুর রহমান। শৈশবকাল থেকেই তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। কুষ্টিয়ার স্থানীয় নাট্যদল নূপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যামিস্ট্রি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন মিজু আহমেদ।
১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কয়েক বছরের মধ্যে নিজেকে সেরা খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এ ছাড়া তিনি তার নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজে’র ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। অসাধারণ অভিনয়ের সুবাদে ১৯৯২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।