একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় প্রেমিককে হত্যা!
হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের নিখোঁজ ছাত্র উজ্জ্বল মিয়ার (২২) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মেদি বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে লাখাই থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার ও তাঁর বাবা মঞ্জু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত উজ্জ্বল মুড়িয়াউক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। গ্রেপ্তার দুজনের বাড়ি মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফারজানার সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও তাঁর বাবা জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মেদি বিল থেকে লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের প্রেমিকার বাবা মঞ্জু মিয়াসহ অন্যরা। ছবি : এনটিভি
পুলিশ সুপার জানান, মেয়েটি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, উজ্জলের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একই সঙ্গে আরো কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন উজ্জ্বল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় দুই মাস আগে উজ্জ্বলকে বাড়িতে খবর দিয়ে আনেন ফারজানা এবং তাঁর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হন। পরে ঘরে থাকা পুতা দিয়ে আঘাত করে উজ্জ্বলকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ প্রথমে নিজ ঘরে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। পরে সুযোগ মতো লাশটি বিলে ফেলে দেন।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে উজ্জ্বলকে হত্যা করে মরদেহটি মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। পরবর্তীতে তা ফেলে দেওয়া হয় মেদি বিলে।
ওসি জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ওই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে উজ্জ্বল হত্যার বিষয়টি জানা যায় এবং আজ লাশ উদ্ধার করা হয়।