টাঙ্গাইলে পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ, দুজন চারদিনের রিমান্ডে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় পাকিস্তানি কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আল আমিন ও তার ভাই সুমনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এই আদেশ দেন।
এদিকে মামলার আরেক আসামি আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি আল আমিনকে আদালতে হাজির করেন।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী দোভাষীর মাধ্যমে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নওরিন মাহবুবের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। ওই কিশোরী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশী হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল আদালতের মাধ্যমে জানা যাবে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান বলেন, আসামি আল আমিন ও তার ভাইয়ের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার ভাই সুমন ওই কিশোরীকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ভিসা নিয়ে পাকিস্তান থেকে মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। গত ১৬ এপ্রিল রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে আপন চাচাত ভাই। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ অবস্থায় ১৭ এপ্রিল রাতে আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে মেয়েটির মা গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দিবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওই দিনই আল আমিনের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।