নুসরাত হত্যা, দুর্বৃত্তদের জন্য গেটে পাহারা দেয় শাকিল
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে যারা আগুন দেয় তাদের নিরাপদে পার করে দিতে মাদ্রাসার গেটে অবস্থান নেয় মহিউদ্দিন শাকিল। গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তথ্য দিয়েছে।
মহিউদ্দিন শাকিলকে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতের বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল শাকিলকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর উকিলপাড়া এলাকা থেকে শাকিলকে আটক করা হয়। তার বাড়ি জেলার সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে।
ওই মামলায় পুলিশ ও পিবিআই এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ আটজন আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ‘শাকিলকে গ্রেপ্তারের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে সে। ঘটনার সময় স্কুল গেইটে হামলাকারীদের নিরাপদে পার হয়ে যাওয়ার জন্য গেটে অবস্থান করছিল শাকিল।’
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চারতলায় যান। সেখানে মুখোশপরা চার-পাঁচজন তাঁকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল রাতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি।