জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুসরাত হত্যার পাঁচ আসামি রিমান্ডে
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি ও আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দেওয়া শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনের দুদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় গ্রেপ্তার এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল ও ইফতেখার হোসেন রানার পাঁচদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে পাঁচ আসামি রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. শাহ আলম।
পুলিশ জানায়, আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনের পাঁচদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই আদালতে এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল ও ইফতেখার হোসেন রানার সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার এজহারভুক্ত আসামি ও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত আজ তাদের রিমান্ড শুনানির দিন রেখেছিলেন।
গত ১৪ এপ্রিল শাহাদাত হোসেন শামীম ও ২০ এপ্রিল জাবেদ হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা প্রথমপত্র দিতে মাদ্রাসায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ডেকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে যায়। পরে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন পর গত ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।
পরের দিন ১১ এপ্রিল বিকেলে জানাজা শেষে নুসরাতকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এ মামলা এজহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে হত্যায় সরাসরি জড়িত পাঁচজনসহ নয়জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।