নুসরাত হত্যার আসামি শাহাদত, জোবায়ের ও জাবেদ আবার রিমান্ডে
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যতম আসামি শাহাদত হোসেন শামীম, জোবায়ের আহম্মদ ও জাবেদ হোসেনকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শাহাদত হোসেন শামীম, জোবায়ের আহম্মদ ও জাবেদ হোসেন এর আগে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কমকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, উদ্ধার হওয়া আলামত শনাক্ত ও তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার অন্যতম আসামি শাহাদত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহম্মদকে আদালতে তুলে দুদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তাদের প্রত্যেককে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত পাঁচজনসহ ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার একই আদালতে এ মামলার আসামি মহিউদ্দিন শাকিল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। চলতি মে মাসের মধ্যে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআইর চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী (নুসরাতের সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি ওরফে শম্পা) তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদ দিলে ওই ভবনের ছাদে যান নুসরাত। সেখানে বোরকা ও নেকাব পরা চার-পাঁচজন তাঁকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান।
গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত।