ফেনীতে ট্রেনে ডাকাতি, তদন্ত কমিটি গঠন
ফেনীতে ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। ঢাকা জিআরপি পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শামসুদ্দিন আলমের নেতৃত্বে তদন্ত দলটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে তদন্ত দল ফেনী রেল স্টেশন, কালীদহ স্টেশন ও মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন পরিদর্শন করে।
এ সময় ডিআইজি শামসুদ্দিন আলম বলেন, ‘আসামিদের সম্পর্কে তথ্য নেওয়া, ধারণা নেওয়া, মামলার আলামত জব্দ করা এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট যারা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের জবানবন্দি নিচ্ছি। তাঁদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে আসামিদের আমরা শনাক্ত করে তাঁদের ডাকাতি মামলায় সোপর্দ করতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে আমাদের। তবে বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তাই এর সব দিক খেয়াল রেখে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ডিআইজি শামসুদ্দিন জানান, দুর্বৃত্তরা ট্রেনের ছাদ থেকে ঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা ঘটার পর এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড স্টেশনে তথ্য দেওয়া হলে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও সীতাকুণ্ড থানার সহযোগিতায় আহত যাত্রীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁদের সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। যাঁদের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল, তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তদন্ত দলের কমকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। আগামীতে ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। পাশাপাশি যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে ওঠা পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা) নওরোজ হাসান তালুকদার, লাকসাম রেলওয়ে পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন, ফেনী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ঐক্য সিং ও ফেনী জিআরপির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেনী কালিদহ এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা ট্রেনের তিনটি বগি থেকে যাত্রীদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে ডাকাতরা চেইন টেনে ট্রেন থামিয়ে মুহুরীগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়।