বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ড, আরো দুই আসামি গ্রেপ্তার
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় টিকটক হৃদয় ও অলি নামের আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কোথা থেকে কীভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তা জানাতে চাচ্ছে না পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো আটজন।
এ আগে আজ রোববার দুপুরে এ মামলার অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। বরগুনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দুপুর ১টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডের সব আসামি ধরতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই সব আসামিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হবে পুলিশ। এ পর্যন্ত পুলিশ মোট ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি। রিফাত হত্যার সব আসামিকে ধরতে শুধু বরগুনা পুলিশ নয় সারা দেশের প্রায় দুই লাখ পুলিশ এখন সচেষ্ট রয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার।
রিফাত হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন এজাহারভুক্ত আসামি অলি, টিকটক হৃদয়, চন্দন ওরফে জয় চন্দ্র সরকার (২১) ও মো. হাসান (১৯)। এ ছাড়া তদন্তেপ্রাপ্ত সন্দিগ্ধ আসামি মো. নাজমুল হাসান (১৮), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সাইমুন (২১)।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে এ মামলার মূল আসামি সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী, তার ভাই রিশান ফরাজীসহ অন্যরা।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেছেন।