নুসরাতের শ্লীলতাহানি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শ্লীলতাহানির মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই।
আজ বুধবার বিকেলে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে মামলার তদন্ত কমকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহআলম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে একমাত্র আসামি করে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
আগমীকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৬ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার অফিসকক্ষে নুসরাত জাহান রাফিকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ঘটনার পরদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা নুসরাতকে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয়। নুসরাত তাতে রাজি না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার দিন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরে গত ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নুসরাত মারা যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর নুসরাতের হত্যা মামলা ও শ্লীলতাহানীর মামলা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে।
হত্যা মামলার শুনানি চলছে :
এদিকে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার শুনানির অংশ হিসেবে আজ মাদ্রাসার অফিস সহকারী নুরুল আমিনকে জেরা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক (জেলা জজ পদমর্যাদার) মো. মামুনুর রসিদ। ফেনী কারাগার থেকে অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের মধ্যে পাঁচজনের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আসামিদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ বুধবার বিকেল ৫টায় আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আদালত কাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে এ মামলার সাক্ষী মাদ্রাসার পিয়ন মো. মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের ১৬ জন আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করবেন।
গত ২০ জুন এই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।