আমির হোসেন বাবুর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন
এফডিসিতে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যপরিচালক আমির হোসেন বাবুর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও স্মরণসভা। মুক্তিযোদ্ধা-অভিনেতা আমির হোসেন বাবুর স্মরণে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র নৃত্যপরিচালক সমিতি।
বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল। বিকেল ৫টায় জহির রায়হান কালার ল্যাব অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণসভা। এতে সিনিয়র শিল্পীদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক খোকন বলেন, ‘আজ বাদ জোহর আমরা এফডিসিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছি। বিকেলে থাকছে স্মরণসভা। এতে সিনিয়র শিল্পী ও আমাদের সিনিয়র নৃত্যপরিচালকরা অংশ নেবেন।’
খোকন আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্রের অনেক সিনিয়র ও গুণী নৃত্যপরিচালক আমির হোসেন বাবু। তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের গানকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। অনেক তারকা শিল্পীও বাবু ভাইয়ের কাজে মুগ্ধ ছিলেন। উনার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা এই আয়োজন করেছি।’
স্মৃতিচারণ করে নায়ক আলমগীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে বাবুর সম্পর্কটা ছিল ভাই-বন্ধুর মতো। আমি শুটিং শেষ করে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে রাত ৮টার দিকে আড্ডা দিতাম। ঠিক এই সময় বাসায় গিয়ে উপস্থিত হতো আমির হোসেন বাবু। যেন আমরা একটা পরিবার। আমি এ পর্যন্ত যত গানে অভিনয় করেছি, তার নব্বই ভাগ কাজ করেছি বাবুর সঙ্গে। অনেক ফ্যাশনসচেতন ছিল বাবু। এমন হয়েছে যে তার একটি পোশাক আমার পছন্দ হয়েছে, সেটি পরে আমি শট দিয়েছি। সম্পর্কটা শুধু বাবুর সঙ্গে ছিল না, ছিল পরিবারের সঙ্গে, যা এখনো রয়েছে। বাবুর মৃত্যুর পর একদিন বাবুর ছোট বোন ডলি এসে বলল, বাবু ভাই নেই তো কী হয়েছে। আজ থেকে আপনি আমাদের বড় ভাই। সেই থেকে আমরা একই পরিবার। ডলির হাজবেন্ড আমার ব্যবসায়িক পার্টনার।’
নায়িকা অঞ্জনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বাবু মারা যাওয়ার পর আমি তাঁকে দেখতে যেতে পারিনি। কারণ, তাঁর মৃত চেহারাটা আমি দেখতে চাইনি। আমরা একসঙ্গে বিটিভিতে কাজ করেছি। চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এত সুন্দর বন্ধুত্ব অনেকের সঙ্গেই ছিল না। আমরা শিল্পী আর টেকনিশিয়ানরা ছিলাম একে অন্যের পরিপূরক।’