পদ্মার চরে গাছতলায় স্কুল
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পদ্মা পাড়ের দিঘীরপাড় ইউনিয়নের একমাত্র স্কুলটিতে শিশুদের পাঠদান চলছে গাছতলায় পাটি পেতে। শিক্ষার আলো ছড়ানো বেসরকারি এই বিদ্যালয়টিতে নেই কোনো ভবন। আর তাই খোলা আকাশের নিচে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রমত্তা পদ্মার বুকে জেগে উঠা সরিষাবন, ধানকোঁড়া ও কান্ধারবাড়ি চরের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয়ে শিশু ও প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। দিঘীরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হালদার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ১৯৮৮ সালে পদ্মার বিশাল জলরাশির বুকে জেগে ওঠে এসব চরটি। কালের পরিক্রমায় চরগুলোতে জনবসতি গড়ে উঠলেও সরকারি-বেসরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়নি।
২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সরিষাবন গ্রামে শিশু ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিদ্যালয়টি। অবহেলিত গ্রামবাসীদের জন্য মহাকালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তামান্না সরকার মনি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।
বিদ্যালয়টি চালুর পর সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেতে তামান্না সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। সেখান থেকে এখনো সাড়া পাননি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ছুটে যান সমাজের বিত্তবানদের কাছেও। এরই মধ্যে দিঘীরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হালদার বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ২৮ শতক জমি দান করেছেন। তামান্না সরকার মনি নিজেও দিয়েছেন সাত শতক জমি।
তামান্না জানান, ২০১৪ সালে মায়ের অনুপ্রেরণায় এই বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়। বিদ্যালয়টির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে হয়েছে। কিন্তু ঘরের অভাবে ওই গ্রামেরই সেকু সিকদারের বরই গাছ তলায় পাঠদান শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রথমে বিদ্যালয়ের জন্য জমি পাওয়া গেলেও একটি ঘরের অভাবে এখনও পর্যন্ত সেই গাছ তলায় শিশুদের পাঠদান চলছে।