নাশকতার আশঙ্কায় হবিগঞ্জে ১২ জন আটক
নাশকতার আশঙ্কায় হবিগঞ্জে ১২ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী তাদের আটক করে।
পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তিরা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী। তাঁরা হলেন—জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ, শিবিরকর্মী সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম, সিএনজিচালক সাদেক মিয়া, শিবির নেতা আবদুল্লাহ, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, শিবির নেতা নেওয়াজ শরীফ, সোহেল মিয়া, রহমত আলী, লাখাই উপজেলার রুহিতুনশী গ্রামের মোজাফফর হোসেন, জাদি মিয়া, জসিম উদ্দিন ও চুনারুঘাট ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. মস্তু মিয়া।
রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জ সদর থানায় এক ব্রিফিংয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে তিনিসহ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদুর রহমান মনির, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার এএসপি বিল্লাল হোসেন, বিজিবি ৫৫ ব্যাটালিয়নের সুবেদার ইলিয়াছের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে শহরের ঈদগাহ এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি ককটেলম-বিস্ফোরকসহ সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম ও সিএনজি অটোরিকশাচালক ছাদেক মিয়াকে আটক করা হয়। এ ছাড়া চৌধুরীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রাইভেটকারসহ ২ নম্বর পুল এলাকা থেকে সোহেল মিয়া ও তাঁর সহযোগী রহমত আলীকে আটক করা হয়। একই সময় মামলায় পরোয়ানা থাকায় অনন্তপুর এলাকা থেকে হবিগঞ্জ পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, রাত ১টার দিকে শহরের মোহনপুর এলাকার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির কারাবন্দি অ্যাডভোকেট আবদুস শহীদের বাসায় অভিযান চালিয়ে ভাড়াটে জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর বাসা থেকে আট বস্তা জিহাদি বই জব্দ করা হয়। এ ছাড়া শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাখাই উপজেলার রুহিতুনশী গ্রামের মোজাফফর হোসেন, জাদি মিয়া ও জসিম উদ্দিনকে আটক করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, আটক ব্যক্তিদের হবিগঞ্জ সদর থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের নামে বিস্ফোরক উদ্ধার ও নাশকতাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দেওয়া হবে।