গল্পের মাঝে হঠাৎ কোপ, যুবলীগ নেতা পলাতক
হবিগঞ্জে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম ও তাঁর ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের ইনাতাবাদ এলাকায় পৌর যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক শাহীনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
যুবলীগ নেতা ও তাঁর লোকজন ওই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আহত ব্যক্তিরা। এদিকে এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে হবিগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আহতরা হলেন জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম (৩৮) ও তাঁর ছোট ভাই সাদিকুল হক (২৩)। এনামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাদিক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এনামুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে এনাম ও সাদিকুলকে বাসায় ডেকে নেন একই এলাকার বাসিন্দা পৌর যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক শাহীন। সেখানেই তাঁদের কুপিয়ে আহত করা হয়।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাদিকুল বলেন, ‘ডেকে নেওয়ার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই শাহীনের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মিঠুন রায় জানান, এনামের শরীরে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, আহত এনাম ও হামলাকারী শাহীন উভয়েই যুবলীগের রাজনীতি করেন। তাঁরা প্রতিবেশী। এক সঙ্গে চলাফেরাও করতেন। গতকাল রাতে গল্প করার সময়ই হঠাৎ এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো বলেন, ‘পরিদর্শনকালে আমরা শাহীনের বাসায় রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছি। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি তা এখনো জানতে পারিনি।’