সন্তু লারমার কাছে ৩ মাস সময় চাইলেন মিজানুর রহমান
আগামী মাস থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আগে জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার কাছে তিন মাস সময় চেয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রের নাগরিক বা সংগঠন বৈধ রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের সংবিধান কর্তৃক প্রদত্ত সব অধিকার রয়েছে। এ অধিকার তারা প্রয়োগ করতে পারে এবং এ প্রয়োগের মধ্যে এ রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেওয়া তাদের অধিকারভুক্ত। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমার কাছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হয়ে তিন মাসের সময় প্রার্থনা করেছি।
আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার আগে আপনি আর মাত্র তিন মাস সময় দিন। এ তিন মাসের ভেতরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চেষ্টা করব এবং নিশ্চয়ই আমাদের সবার ঐকান্তিক চেষ্টা যদি থাকে, তাহলে আমরা এক ধরনের সমাধানে নিশ্চয়ই উপনীত হতে সক্ষম হব। যখন এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আর অনুভূত হবে না।’
মিজানুর রহমান আরো বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা চাচ্ছিলেন পূর্ণাঙ্গ শান্তি স্থাপনের জন্য চুক্তি বাস্তবায়নটা আরো দ্রুত গতিতে ও পূর্ণভাবে হওয়া বাঞ্ছনীয়।’
মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাঁরা চুক্তি বাস্তবায়ন, ভূমি জটিলতা নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতিসহ পাহাড়ে বহুমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমণি চাকমা, শরণার্থী নেতা সন্তোষিত চাকমা বকুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।