খাগড়াছড়িতে চিকিৎসকের গাড়ির ধাক্কায় শিশু আহত
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় চিকিৎসকের গাড়ির ধাক্কায় চার বছরের এক শিশু আহত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই সময় চিকিৎসক রাজেন্দ্র ত্রিপুরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। চিকিৎসক দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করলেও মদ্যপ থাকার কথা অস্বীকার করেন।
আহত শিশুর নাম সানজিদা আক্তার দীঘি (৪)। সে জেলা সদরের শালবন এলাকার মো. শরিফের মেয়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক নাজির আবদুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১২- ৫৩২৬) চালিয়ে বের হচ্ছিলেন ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা। হাসপাতালের সামনের বাক ঘুরতে গিয়ে প্রথমে শিশু দীঘিকে ধাক্কা দিয়ে পরে গাড়িটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়।
শিশুর নানি রাশেদা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনিকে ধাক্কা দিতেই আমি টেনে নিয়ে আসি। তবে দীঘির জামা গাড়ির সঙ্গে আটকে যায়।’
এ দিকে চিকিৎসক রাজেন্দ্র ত্রিপুরার সঙ্গে কথা বললে তিনি অকপটে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনা আমি অনেক বার ঘটিয়েছি। কই কখনো তো আমার কাছে সাংবাদিক জানতে আসেনি। আপনারা আসলেন কেন।’
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নিশিত নন্দী মজুমদার জানান, রাজেন্দ্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই দায়ভার উনি (রাজেন্দ্র ত্রিপুরা) এড়াতে পারেন না।