চুয়াডাঙ্গার দুই পৌর নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৮ প্রার্থী
চুয়াডাঙ্গার দুটি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আটজন প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। জেলার সদর ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মোট ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তাঁরা জেলা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করলে আটজনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন ১০ জন। আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আটজনের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভায় কোনো প্রার্থীর আবেদন আপিল বিভাগে জমা পড়েনি।
আলমডাঙ্গা পৌরসভায় আপিল আবেদন নামঞ্জুর হওয়া দুই প্রার্থী হলেন মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রশিদা খাতুন। আলমগীর হোসেন তাঁর প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রশিদা খাতুন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হাফিজুর রহমানের মনোনয়নপত্রে ক্রটি থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান তা বাতিল করেন। জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন তিনজন প্রার্থীই। শুনানি শেষে হাফিজুর রহমানের আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং বাকি দুই প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে, সদর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে জমা পড়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আনজুমান আরা সাতজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর আবেদন বাতিল করেন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া সাতজন হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাজেদা খাতুন ও শাহানা খাতুন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে সুফিয়া খাতুন ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে সোহানা সুলতানা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জানিপ হাসান ও নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।