নীরবের পরিবারকে কেন ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নয়?
রাজধানীর শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে পাঁচ বছরের শিশু নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ঢাকা শহরের সব ম্যানহোল, গর্ত, সুড়ঙ্গ, কূপ, নলকূপের বিষয়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিটি করপোরেশনের সচিব, ওয়াসার চেয়ারম্যান, ঢাকা ফায়ার সর্ভিসের পরিচালক, কদমতলী থানার ওসিসহ ১৩ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান।
এ ছাড়া আরো তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত :
এক. নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা কদমতলী থানার ওসিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
দুই. ঢাকা শহরের অরক্ষিত কতগুলো ম্যানহোল, সুড়ঙ্গ, নলকূপ, গর্ত রয়েছে তার একটি তালিকা আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিন. এ ছাড়া শিশু নীরব যে ম্যানহোলে পড়ে গেছে, সেটির জমির মালিকানা কি সরকারি নাকি বেসরকারি তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। যদি বেসরকারি কোনো মালিক হয় তাহলে ম্যানহোলের জায়গাটি কোন শর্তে নেওয়া হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শুনানিতে বলেছি সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের জীবন রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের কোনো কর্মকর্তার অবহেলার কারণে কোনো নাগরিকের মৃত্যু হতে দেওয়া যায় না।যদি মৃত্যু হয় তাহলে এ জন্য সরকারকে ক্ষতি পূরণ দিতে হয়। আদালত আমার শুনানি আমলে নিয়ে ক্ষতি পূরণসহ রুল এবং তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন।’
গত ১৩ ডিসেম্বর চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। গত ৮ ডিসেম্বর ম্যানহোলে পড়ে যায় পাঁচ বছরের শিশু ইসমাঈল হোসেন নীরব। চারঘণ্টা পরে তাকে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।