ইসি আমাদের ওপর নির্দয় : হানিফ
পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে নিরপেক্ষ আচরণের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল এ দাবি জানায়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন পাঁচজন।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিএনপির ওপর বেশি সদয় হয়ে আমাদের ওপর যেন বেশি নির্দয় না হয় সেই দাবিই করেছি। বিএনপি সংসদের বাইরে থাকায় নির্বাচনি প্রচারে বেশি সুবিধা পাচ্ছে। ইসি আমাদের ওপর নির্দয় হয়েছে। কারণ আমরা সরকারি দলে থাকায় এবং সংসদ সদস্য হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারছি না। এটি কমিশনের নিরপেক্ষ আচরণ নয়।’
হানিফ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের মধ্যে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তার দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ইসির কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘এমপি, মন্ত্রী বা আমরা নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করলে ইসি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই ক্ষমতা ইসির আছে। তবে আমাদের কোনো সংসদ সদস্য এলাকায় গিয়ে জুমার নামাজ পড়ার পর এলাকার লোকজনের সঙ্গে কোলাকুলি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা ঠিক না।’
ইসি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হাজারো অভিযোগ করে বিএনপি একটি উদভ্রান্ত দলে পরিণত হয়েছে। তাদের নিয়ে কথা বলতে চাই না।’
ইসির কাছে কয়েকটি পর্যবেক্ষক সংস্থার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হানিফ বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা সবাই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাজেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে না।’
মাহবুব-উল-আলম হানিফ ছাড়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে ২৩২টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে।