খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পাশাপাশি চলছে উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, মাইকিং। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। ভোটারদের মন জয় করতে দেওয়া হচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি।
স্থানীয় নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক নৌকা-ধানের শীষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোবাইল প্রতীক। ধারণা করা হচ্ছে, খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে এবার ত্রিমুখী লড়াই বেশ জমবে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে শুরু হওয়া এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, ধানের শীষ প্রতীকে জেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, লাঙ্গল প্রতীকে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. ইছহাক, মোবাইল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারির ছোট ভাই রফিকুল আলম ও নারকেল গাছ প্রতীকে অনিবন্ধিত আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রার্থী কিরণ মারমা। রাত-দিন প্রার্থীরা পৌরসভার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারা নামছেন প্রার্থীদের প্রচারে। বড় দুই দলের প্রার্থীর পাশাপাশি বর্তমান মেয়র জানান, ভোটাররা ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন, জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।
আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ এবং বিএনপির সমীরণ দেওয়ান গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল আলমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচারে অংশ নেওয়ায় বড় দুই দলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ তুলেছেন প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়াসহ প্রভাব বিস্তারের।
এদিকে তিন বাঙালি প্রার্থীর লড়াইয়ের সুযোগে কৌশলে ফসল তুলতে চান আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ স্বতন্ত্র প্রার্থী কিরণ মারমা।
এদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মো. শানে আলম আজ পৌর শহরের খাগড়াছড়ি বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারীসহ সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ করেন।
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টুর পক্ষে প্রচারে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুঁইয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। তাঁরা খাগড়াছড়ির আদালত সড়ক, মিলনপুর, পানখাইয়া পাড়া, কল্যাণপুর, শালবাগান ও হাসপাতাল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি ও ভোট চান।