মাটিরাঙায় ব্যালট ছিনতাই, একজনের কারাদণ্ড
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভায় ভোটগ্রহণের সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের পর এ আদেশ দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোহিদুল ইসলাম। কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সেলিম।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান ও মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটু কারাদণ্ডের বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির লোকজন জানায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা চালায়।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহেদুজ্জামান, পুলিশ সুপার এম মজিদ আলী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব),বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে পুনরায় ভোট শুরু নির্দেশ দেন।
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘নানা ভয়ভীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমার জানা মতে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিচ্ছিল। কিন্তু ৮ নম্বর পাইলট হাইস্কুল স্কুল কেন্দ্রে আসার পর জানতে পারি, এখানে নৌকা প্রতীকে জোর করে সিল মারা হচ্ছে। আমি দ্রুত পাঁচ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে বাধা দেয়।’
বাদশা মিয়া আরো বলেন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারের সামনেই ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়ে নৌকার প্রতীকে সীল মারে এবং ব্যালট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল লক্ষ্মণ ও ধানের শীষের প্রধান এজেন্ট মনিন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা আহত হন।
তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেন আওয়াম লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রধান এজেন্ট সুভাষ চাকমা। তিনি বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগ সত্য নয়, আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত জেনে তিনি কাল্পনিক অভিযোগ করছেন।