রামগঞ্জে নির্বাচন-পরবর্তী সংঘর্ষে আহত ৭
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলরের সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চুকে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রামগঞ্জে শহর ও আঙ্গারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন। রাত সোয়া ৯টার দিকে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ও আশপাশের এলাকায় এমরানের অনুসারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
স্থানীয় লোকজন জানান, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এমরান হোসেন বাচ্চু নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আহসান হাবিবের সমর্থক যুবলীগকর্মী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করেন।
এ ঘটনার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল চৌকিয়াসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ওই পরাজিত প্রার্থীকে ধাওয়া দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আহত হয়েছে অন্তত সাতজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন বাচ্চুকে আটক করে।
সংঘর্ষে দেলোয়ার হোসেন, শাহিন, রুবেল হোসেন, মামুন ও শামীমসহ উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়। তাদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।