খাগড়াছড়িতে নবনির্বাচিত মেয়রকে নাগরিক সংবর্ধনা
খাগড়াছড়ি পৌরসভায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রফিকুল আলমকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচিত সব কাউন্সিলরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের মুক্তমঞ্চে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাগরিক কমিটি। নাগরিক কমিটির সভাপতি ও ব্যবসায়ী আলহাজ লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে নাগরিক সংবর্ধনার প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র রফিকুল আলম।
রফিকুল আলম এবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আঞ্চলিক দলের শক্তিশালী তিন প্রার্থীকে হারিয়েছেন।
সংবর্ধনায় মেয়র রফিকুল আলম বলেন, শান্তি-উন্নয়ন আর সহাবস্থানের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে মানুষের ঐক্যের জয় হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে পাহাড়ি-বাঙালির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত আরো মজবুত হয়েছে। তিনি খাগড়াছড়ি পৌর শহরকে একটি আধুনিক, পর্যটনমুখী, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মডেল ওয়ান পৌরসভা ও সেবামূলক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
নাগরিক কমিটির সভাপতি ও খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ লিয়াকত আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি রইচ উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বাদল, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আমিন শরীফ সওদাগর, সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধি আজিম-উল-হক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামাল পাটোয়ারী, খাগড়াছড়ি চেম্বারের পরিচালক সুদর্শন দত্ত, বিশিষ্ট ঠিকাদার নুরুল আলম, খাগড়াছড়ি আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আবদুল মোমিন, যুবনেতা জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান এবং সমাজকর্মী সিদ্দিক উল্লাহ চৌধুরী।
সভায় সংবর্ধনার জবাবে মেয়র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাকে হারাতে সাধারণ ভোটারদের প্রতারিত করার জন্য সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভূঁইয়া ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। কিন্তু খাগড়াছড়ি পৌরবাসী পাহাড়ি-বাঙালি ঐকবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।’
এর আগে খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মেয়র রফিকুল আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে, উত্তরীয় পরিয়ে এবং ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।