হবিগঞ্জে জমি দখল নিয়ে আ. লীগের ২ পক্ষে সংঘর্ষ
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর এলাকায় খাস জমির দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
আজ বুধবার সন্ধ্যার পর এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ১১টি গুলি ও একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিবাদ মিছিল করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মাধবপুর বাজারে এক খণ্ড খাস জমি আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের মাধবপুর শাখার সহসভাপতি জাবেদ ফকিরের নেতৃত্বে দখল করা হয়। আজ সন্ধ্যায় মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠানের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ফারুক পাঠান মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদ আলীকে মারধর করে। তখন এরশাদ আলীর লোকজনও জাবেদ ফকিরের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এতে এরশাদ আলী ছাড়া উসমান মিয়া, মনির মিয়া, জাবেদ ফকির, মাধবপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জ্বল পাঠানের বাবা দারু পাঠান, শাহ আলম, কবির ভূইয়াসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দারু পাঠানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা।
খবর পেয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চারটি গুলি নিক্ষেপ করে। বর্তমানে উপজেলা শহরে উভয়পক্ষ অবস্থান নেওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি নিক্ষেপ করে।
ওসি মোল্লা মনির হোসেন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ১১টি গুলি ও একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।