আহতদের ছবি তোলার সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা
হবিগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় দেশ টিভির প্রতিনিধি শ্রীকান্ত গোপ গুরুতর আহত হয়েছেন। জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের ছবি তুলতে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে গেলে আজ বুধবার ওই হামলা চালানো হয়।
সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে স্থানীয় আবদুর রউফ ও চিত্তরঞ্জন গোপের নেতৃত্বে একদল লোক শহরতলির নারায়ণপুর গ্রামে একটি জমি দখল করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে ভূমিদস্যুদের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। সাংবাদিক শ্রীকান্ত আহতদের ছবি তুলতে আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে গেলে ভূমিদস্যুরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জে কর্মরত সব সাংবাদিক হাসপাতাল ও সদর মডেল থানায় জড়ো হন। এ সময় পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে।
আহত সাংবাদিক শ্রীকান্ত গোপ বলেন, ‘জমি দখল নিয়ে খবর সংগ্রহের পর হামলায় আহত রোগী দেখতে হাসপাতালে আসলাম। ভাবলাম, আহতদের কী অবস্থা একটু দেখে যাই। তখন পাঁচ-সাতজন আমাকে হাসপাতালে মারে। আমার দাঁত ভেঙে দিছে। আমার হাতে জখম আছে।’
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নারায়ণপুর গ্রামে জায়গাজমি নিয়ে চিত্তরঞ্জন গোপ গংরা গ্রামবাসীর সঙ্গে ঝগড়া করে। গ্রামের জায়গাজমি ও সরকারের বিভিন্ন জায়গাজমি দখল করার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবে গ্রামবাসী এতে বাধা দিয়েছে। আরো কিছু ঝামেলা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে গেছে। চিত্তরঞ্জন গোপ ও তাঁর লোকজন হাসপাতালে এসে আক্রমণ চালায়। আমরা খবর পেয়ে তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
সাংবাদিকদের প্রতিবাদ সভা : হামলার পর হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন সাংবাদিকরা। সভায় আবদুর রউফসহ দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা।
প্রেসক্লাব সভাপতি শোয়েব চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. ফরিয়াদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমির হোসেন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মো. ফজলুর রহমান, প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা রফিক প্রমুখ।