মৌলভীবাজারে যুবলীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ : আহত ১০
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুদ্দোহা জানান, কাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে যুবলীগের পূর্বনির্ধারিত সম্মেলন ছিল। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ফজলুর রহমান।
ওসি আরো জানান, সম্মেলন চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বক্তব্য দিতে গেলে উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এ কে এম শফি আহমদ সলমানসহ তাঁর সমর্থকরা তাঁকে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে কুলাউড়া উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা যুবলীগ সদস্য আবু মোহাম্মদ, যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ইস্রাব আলী ইছইসহ ১০ জন আহত হন।
আহত নেতা-কর্মীদের কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনের পর থেকে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন উপজেলা আ. লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম রেনু। সেই সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, দলের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি কৌশলে দলের বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সহযোগিতা করেন। অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন নৌকা প্রতীকের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ এ কে এম শফি আহমদ সলমান। এর পর থেকে ক্ষোভে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে থাকে।
এ ছাড়া সম্প্রতি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটে আসা উপলক্ষে দলের বহিষ্কৃত নবনির্বাচিত পৌর মেয়রকে নিয়ে রফিকুল ইসলাম কুলাউড়া শহরে স্বাগত মিছিল বের করে। এসময় উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম শফি আহমদ সলমানের নেতৃত্বে আ. লীগের অন্যগ্রুপের নেতা-কর্মীরাও পাল্টা মিছিল বের করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ থেকে চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এরপর থেকে ভিতরে ভিতরে অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।