বাহুবলে ৪ শিশু হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে
হবিগঞ্জের বাহুবলে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার চার শিশুর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে নিহত শিশুদের বাড়িতে এসে প্রত্যেক শিশুর বাবার হাতে আলাদাভাবে চেক তুলে দেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার এখানে আসার কারণ হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে এবং এই হত্যার বিচার যেন খুবই ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যবস্থা নিতে এবং বিচার যেন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হয়।’
মেহের আফরোজ চুমকি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘কারা কেন শিশুদের হত্যা করল তা সঠিকভাবে বের করতে হবে। প্রতিটি বিষয় বের করতে হবে। কেন শিশুদের টার্গেট করা হচ্ছে? শিশুরা দুর্বল এ জন্য। নাকি অন্য কারণ আছে। শিশুদের ব্যাপারে কোনো দুর্বলতা বা অবহেলা করা বরদাশত করা হবে না।
পরে প্রতিমন্ত্রী এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে চার শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা পাঁচজন হলো।
গ্রেপ্তার হওয়া নতুন তিন আসামি হলো রুবেল মিয়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বসির মিয়া ও আরজু মিয়া।
হবিগঞ্জ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তাদির হোসেন জানান, আটক তিন ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ জন্য তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, নিহত শিশুদের বাড়িতে আজও শোকের মাতম বইছে। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা সকাল থেকেই নিহতদের বাড়িতে এসে ভিড় করছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রাম থেকে চার শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পাঁচদিন পর গত বুধবার দুপুরে বাড়ির অদূরে বালিমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।