বাহুবলে যুব সংহতি নেতার কয়েক টুকরো লাশ
হবিগঞ্জের বাহুবলে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর জাতীয় পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির নেতা রফিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাশয়ের বাজার রেললাইনের ওপর থেকে তাঁর খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজনীতি করার পাশাপাশি রফিক মিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে চাচাতো ভাইদের সঙ্গে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু ও এলাকার মুরব্বিরা কয়েক দফা সালিশ-বৈঠক করেও এ সমস্যার সমাধান করতে পারেননি।
রফিক মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল শনিবার রাতে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর আর বাড়ি ফেরেননি রফিক। পরিবারের লোকজন রাতভর তাঁকে খুঁজে পায়নি। পরে আজ সকালে বাড়ির অদূরে রফিক মিয়ার রক্তমাখা কাপড় দেখতে পান স্বজনরা।
খবর পেয়ে বাহুবল থানা পুলিশ ওই স্থান থেকে রক্তমাখা কাপড় ও একটি কুড়াল উদ্ধার করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় মহাশয়ের বাজার এলাকায় রেললাইনের ওপর একটি খণ্ড-বিখণ্ড লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করলে স্বজনরা সেটি রফিকের বলে শনাক্ত করেন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, রফিকের লাশটি রেললাইনের ওপর খণ্ড-বিখণ্ড অবস্থায় পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে খুন করে লাশটি রেললাইনের ওপর ফেলে যাওয়া হয়। রাতে কোনো ট্রেনে কাটা পড়ে লাশটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। ওসির ধারণা, রফিক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে বলে প্রমাণ করার জন্যই হয়তো ঘাতকরা তার লাশটি রেললাইনের ওপর ফেলে যায়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
সম্প্রতি বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়্ন যুব সংহতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান রফিক।