‘নিজ দলের চাপে’ বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
নিজ দলের চাপের কারণে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি মনোনীত এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এ ব্যাপারে লতিবাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বোরহান উদ্দিন গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে তাঁর ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান আহমেদ রাজু বলেন, ‘হয়তো বিএনপির একটি প্রভাবশালী অংশ আমার ভাইকে অপছন্দ করে বলে চাপ প্রয়োগ করে উনাকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। উনার নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি ছিল।’
তবে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে চাপ প্রয়োগের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন করার জন্যই তাঁকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, লতিবাবাদ ইউনিয়নে বিএনপি থেকে প্রথমে স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সভাপতি শহিদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত শহিদ বর্তমানে জামিনে আছেন। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের আশঙ্কায় পরে দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়াকে দেওয়া হয়। তখন শহিদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
পরে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে শহিদুল ইসলামের প্রার্থীতা বহাল থাকলে বিএনপি নেতৃত্ব দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে আগামী ২২ মার্চ প্রথম পর্যায়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত শেষ দিনে মোট ৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং ১৫ জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মনোনীত একজন প্রার্থীও রয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম জানান, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মাঝে লতিবাবাদ ইউপিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া, মাইজখাপন ইউপিতে সিপিবি মনোনীত মো. বাহার উদ্দিন, বৌলাই ইউপিতে সিরাজুল হক, মারিয়া ইউপিতে আবুল কাশেম ও সাইফুল ইসলাম বাদল, চৌদ্দশত ইউপিতে আবু তাহের ভূঁইয়া ও মো. আহসান হাবীব লিটন এবং রশিদাবাদ ইউপিতে মোশারফ হোসেন শিহাব ও আব্দুল কুদ্দুছ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৮ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৩৯ জন নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন।