রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ১৫
রংপুরের মাহিগঞ্জে অপহরণকারীদের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ লোকজন। পুলিশ গিয়ে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলামকে (১৯) অপহরণের পর বিকাশে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী একটি চক্র। এ নিয়ে জহুরুলের ভাই সেলিম বাদী আজ শনিবার সকালে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য পুলিশ শহরের সাতমাথা এলাকার খন্দকার টেলিকমে গিয়ে দোকানের মালিক শামীম ও কর্মচারী বাবুকে বিষয়টি জানায় এবং অপহরণচক্রের কেউ টাকা নিতে এলে তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দিতে অনুরোধ জানায়। এ ছাড়া ওই চক্রটিকে ধরতে মহসীন নামের এক কনস্টেবলকে সেখানে দায়িত্বে রেখে চলে যান পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।
এদিকে রাত সোয়া ৮টার দিকে অপহরণকারীদের একজন টাকা উত্তোলনের জন্য ওই টেলিকমে যান। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন অপহরণকারীচক্রের ওই সদস্য। খবর পেয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দোকানে গিয়ে ওই অপহরণচক্রের সদস্যকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে শামীমকে গালাগালি করতে থাকেন। এ সময় আশপাশের দোকানিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে সাতমাথায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।