বোমা মেরে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, গুলিতে ফেরিওয়ালা নিহত
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র দখলের সময় গুলিতে ফেরিওয়ালা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৮/১০ দুর্বৃত্ত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তাদের হটাতে পুলিশ বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো ফেরিওয়ালা আবদুস সাত্তার নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন। নিহত আবদুস সাত্তারের মাথায় গুলি লাগে। তাঁর শরীরে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। খবর পেয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল ৮টায় ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা শুরু হয়।
এদিকে, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চুড়ামনকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে জাল ভোট দেওয়া শুরু হলে ওই ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। জাল ভোট দেওয়ায় সহযোগিতার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার শেখ আবদুল্লাহ আকবরকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া কাশিমপুর ইউনিয়নের বিজয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ইশরাত জাহানকেও আটক করেছে পুলিশ। এ দুজনের কাছে সিল মারা ব্যালট বই পাওয়া গেছে বলে জানান যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল হাসান।
নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় হাসান নামের এক আওয়ামী লীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শুকুর আলীকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে আহত করেছেন। তাঁকেও যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।