বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত
অবশেষে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
এসএসসি পরীক্ষার্থী এক আসামির বয়স নিয়ে জটিলতা নিরসন হওয়ায় আজ সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক কিরণ শংকর হালদার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন মামলার অন্যতম আসামি রুবেল ঘটনার সময় এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তাই তার বিচার শিশু আইনে করার আবেদন জানিয়েছিলেন তারা। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাতদিনের মধ্যে মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে আসামি রুবেল মিয়ার বয়স আদালতকে জানানোর জন্য হবিগঞ্জের সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. দেবপদ রায় আদালতকে জানিয়েছেন আসামি রুবেলের বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর হবে।
সিভিল সার্জনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মন্তব্য করেন, ‘যেহেতু আসামি রুবেল প্রাপ্তবয়স্ক সেহেতু তার বিচার এ আদালতে করতে আর কোনো বাধা নেই। তাই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হলো।’
একই সঙ্গে আদালতে জামিন আবেদনকারী প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালসহ পাঁচ আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া আসামি বশির আহমেদ ও সালেহ আহমেদকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদির হোসেন চার শিশু হত্যার ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ৪ শিশু নিখোঁজ হয়েছিল। নিখোঁজের পাঁচদিন পর বাড়ির অদূরে বালিমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।