পাবনার সাংবাদিক শফিউর রহমান খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ৩১ জুলাই। ২০০১ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন পাবনায় সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ শফিউর রহমান খান।
১৯৩১ সালের ২৩ ডিসেম্বর পাবনার বেড়া উপজেলার টাংবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শফিউর। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে কাটে তাঁর শৈশব। প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে শেষ করেন শিক্ষাজীবন।
১৯৬০ সালে দৈনিক সংবাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন শফিউর। এর পর ঢাকায় সংবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সার্কুলেশন ও রিপোর্টিং বিভাগে কাজ শুরু করেন তিনি।
১৯৮০ সালে পাবনা শহর থেকে ‘পাবনা বার্তা’ নামে একটি সাপ্তাহিক প্রকাশ করেন শফিউর রহমান খান। এর পর ১৯৯১ সালে এই জেলার প্রথম দৈনিক ‘ইছামতি’ প্রকাশ করেন। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, পাবনা জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, পাবনা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ এডিটর্স ফোরামের সদস্য, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সহসভাপতি এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক জীবনে তিনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন।
মওলানা ভাসানী শফিউর রহমান খানকে নিজ সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। পাবনায় এলে তিনি শফিউরের বাসায় উঠতেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ অনেক প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা তাঁর বন্ধু ছিলেন।
পাবনায় বর্তমান প্রজন্মের যেসব সাংবাদিক রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই শফিউর রহমান খানের শিষ্য। তাই তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীকে পাবনার সাংবাদিকরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন।
শফিউর রহমান খানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক ইছামতি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় দৈনিক সিনসা ও পাবনা প্রেসক্লাব দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।