গচ্ছিত টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নে এক নারী, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

হত্যার অভিযোগে ওই নারীর দেবর তাহের উদ্দিনকে (৩২) গতকাল রাতেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।

নিহত তিনজন হলেন—সৌদিপ্রবাসী গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), তাঁর  অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শারমিন আকতার (২৩) ও প্রতিবেশী শিমুল মিয়া (২৫)।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, আটক তাহের উদ্দিন দীর্ঘদিন প্রবাসী ছিলেন। কুয়েত ও গ্রিসে কাজ করার সময় উপার্জিত টাকা ভাবী জাহানারা বেগমের কাছে পাঠাতেন তিনি। কিছুদিন আগে তাহের দেশে ফেরেন। একসময় জাহানারার কাছে গচ্ছিত রাখা টাকা চাইলে তিনি তাহেরকে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। বিষয়টি নিয়ে জাহানারার সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর ঝগড়া ও মনোমালিন্য চলছিল।

এসপি জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে টাকা চাওয়া নিয়ে জাহানারা বেগমের সঙ্গে তাহেরের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগমকে কোপাতে থাকেন। এ সময় জাহানারার চিৎকারে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শারমিন, ছেলে সুজাত মিয়া ও প্রতিবেশী শিমুল মিয়া এগিয়ে আসেন। এ সময় তাঁদের ওপরও হামলা চালান তাহের।

ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহানারা বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজাত, শারমিন ও শিমুলকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে শারমিন ও শিমুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।  আর সুজাত মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।