আটক তাহেরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গচ্ছিত টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নে নিহত তিনজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।
নিহত তিনজন হলেন—সৌদিপ্রবাসী গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪০), তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শারমিন আকতার (২৩) ও প্রতিবেশী শিমুল মিয়া (২৫)।
জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র জানান, এ ঘটনায় নিহত আটক তাহের উদ্দিন ওরফে শাহ আলম থানায় ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য বিকেলে তাঁকে বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া বিকেলে নিহতদের স্বজনদের কাছে লাশগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হবিগঞ্জের ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়ায় এক নারী, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার অভিযোগে ওই নারীর দেবর তাহের উদ্দিনকে (৩২) গতকাল রাতেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
হত্যার ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, গত রাত ৯টার দিকে ভাবী জাহানার কাছে গচ্ছিত টাকা চাওয়া নিয়ে তাহেরের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগমকে কোপাতে থাকেন। এ সময় জাহানারার চিৎকারে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শারমিন, ছেলে সুজাত মিয়া ও প্রতিবেশী শিমুল মিয়া এগিয়ে আসেন। এ সময় তাঁদের ওপরও হামলা চালান তাহের।
ওই হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান জাহানারা বেগম। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজাত, শারমিন ও শিমুলকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে শারমিন ও শিমুল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আর সুজাত মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।