বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কারে রাবিতে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বুয়েটে একজন শিক্ষক যখন একাত্তরের রাজাকারদের বিচারের প্রকাশ্য বিরোধিতা করে, তখন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। উল্টো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যখন এর প্রতিবাদ করল তখন তাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়। বক্তারা এ বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, শুধু বুয়েটের ঘটনা নিয়ে নয়, যেখানেই প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হবে রাবি ছাত্রলীগ তার প্রতিবাদ জানাবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীদের সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে ঠিকই তিনি তাঁর সম্মান ফিরে পেয়েছিলেন। বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবৈধভাবে বহিষ্কার করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আর কোনো ছাত্রলীগের কর্মীর ওপর অন্যায়-অবিচার করা হলে ছাত্রলীগ তার দাঁতভাঙা জবাব দিবে। সমাবেশ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা, আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নিউটন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সাদ্দাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম হিমু, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক টগর মোহাম্মদ সালেহ প্রমুখ।
ফেসবুকে মন্তব্যের জের ধরে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কমিটির জরুরি সভায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র জ্যোতি টিকাদার ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনকসহ চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।