বান্দরবানে সন্তু লারমার আগমন ঠেকানোর ঘোষণা
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার বান্দরবানে আগমন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’ নামে একটি সংগঠন। আজ রোববার বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এই ঘোষণা দেন। পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংগঠনটির নেতা আবিদুর রহমান বলেন, ‘পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা এবং বাঙালিদের নির্যাতন বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্তু লারমার আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদবাজির রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আগামী ২০ মে স্থানীয় রাজার মাঠে সম্মেলনের নামে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের সমাবেশ আয়োজন করেছে।’
ঐদিন রাজপথে অবস্থান নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সন্তু লারমার বান্দরবানে আগমন ঠেকানো হবে বলেও ঘোষণা দেন আবিদুর রহমান। আগামীকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ‘জাগো পার্বত্যবাসী’ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় শ্রমিক নেতা আবদুল জলিল দাবি করে বলেন, ‘শহরের বালাঘাটায় সন্ত্রাসীরা এখন গুলিবর্ষণ করে। পার্বত্যবাসীর জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকার কারণেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জাগো পার্বত্যবাসী সংগঠনের কর্মীরা আর বসে থাকবে না। পাল্টা আঘাত করা হবে।’
রোয়াংছড়িসহ বান্দরবানের উপজেলাগুলো থেকে বাঙালি শ্রমিকদের বিতাড়ন করা হচ্ছে দাবি করে বক্তারা শ্রমিকদের নিরাপত্তায় পাহাড়ে সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ পুলিশের নিরাপত্তা ক্যাম্প বাড়ানোর দাবি করেন।
ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে বান্দরবানের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমার আগমন ঠেকাতে বান্দরবানে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি চলাকালে সেনাবাহিনী-পুলিশের প্রহরায় সন্তু লারমা বান্দরবানে প্রবেশ করেন। এ সময় শহরের বালাঘাটায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়।