সরকার মানুষকে ভয় পায় : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, জনগণকে ভয় পায় বলেই সরকার জনগণের সমাবেশ করার অনুমতি দেয় না, দেয় না নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনও।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লবের ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জনবিচ্ছিন্ন সরকারের দুঃশাসনে দেশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার মানুষকে ভয় পায়। মানুষ যদি একসঙ্গে হয় এ কারণে সরকার মানুষকে ভয় পায়। মানুষকে ভয় পায় বলেই এরা নির্বাচন দেয় না। মানুষকে ভয় পায় বলেই এরা রেফারেন্ডাম কেড়ে নিয়েছে সংবিধান থেকে। মানুষকে ভয় বলেই এরা দূরে দূরে থাকে। এ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
‘আমি আগেও বলেছি, আওয়ামী লীগ আসলে দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। কিচ্ছু নেই তার। এ কারণেই তাকে পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়, জনগণের ওপর সে নির্ভর করতে পারে না। এই কারণেই ভোটের আগে জোর করে কেড়ে নিতে হয়’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে শিগগির বিএনপি চেয়ারপারসন প্রস্তাবনা দেবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য। ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আলাদা আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য বলেন, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তার প্রথম ধাপ নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে যারা কাজ করবে, তাদের নিরপেক্ষ হতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে। খালেদা জিয়া জাতির সামনে সেই বিষয়টি উপস্থাপন করবেন।
আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার এবং সংসদ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে অতিসত্বর দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে কমিশন গঠনের দাবি জানান তাঁরা।