সমুদ্র থেকে ১৪ ‘জলদস্যু’ আটক, চার জেলে উদ্ধার
সমুদ্র থেকে সন্দেহভাজন ১৪ জলদস্যুকে আটক করেছে নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস শহীদ মহিবুল্লাহ। এ সময় অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার রাত ১১টায় কুয়াকাটা থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে সমুদ্রে একটি মাছধরা ট্রলার থেকে ‘জলদস্যু’দের আটক করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএস শহীদ মহিবুল্লাহর সাব-লেফটেন্যান্ট মারুফ হোসেন জানান, রোববার রাত ২টায় গভীর সাগরে এফবি নার্গিস নামে কক্সবাজারের একটি মাছধরা ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে ১৮ জেলেকে অপহরণ করে। এরপর এফবি খানজাহান আলী নামে একটি মাছধরার ট্রলারে ১৪ জেলেকে তুলে দেয় তারা। বাকি চারজনকে জিম্মি করে রাখে জলদস্যুরা। পরে এফবি নার্গিসসহ সাতটি ট্রলারে ডাকাতির শেষে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল জলদস্যুরা। এফবি নার্গিসের গতিবিধি নৌবাহিনীর সন্দেহ হলে বিএনএস শহীদ মহিববুল্লাহ তাদের অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে সোমবার রাতে ট্রলারে থাকা জলদস্যুদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। তারা তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র সমুদ্রে ফেলে দেয়। নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে এবং চার জেলেকে উদ্ধার করে।
আটক জলদস্যুরা হচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী খালিদ হোসেন (১৯), হানিফ (২৫), আমজাদ (১৯), মিজানুর রহমান (২৮), এনায়েত আলী (২২), নেছারুল করিম (২২), কাওসার (২২), জসিম (২৮), আবু আহম্মেদ (৩৮), মানিক (৪১), ইউনুস (২০), মোর্শেদ (২৮), আনছার হোসেন (২২) ও ইয়াছিন (৩০)। তাঁদের বাড়ি কক্সবাজর জেলার বিভিন্ন থানায়।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছেন আবুল কালাম মাঝি (৫০), ফুল মিয়া (৫০), সেলিম (৪৯) ও রুস্তুম (৬০)। এঁদের সবার বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে ১৪ জলদস্যুকে মহিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।