গোপালগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই নূর ইসলাম মোল্লা (৪৫) নিহত এবং তাঁর দুই সন্তান মারাত্মক আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হরিদাসপুর ফেরিঘাটে মনোরমা রাইস মিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ও আহতরা রাইস মিলের কাছেই ঘুমিয়ে ছিলেন। আহত রোমানাকে (১২) সংকটজনক অবস্থায় খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অপর আহত মোস্তাকিমকে (৫) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নূর ইসলাম মোল্লার বাড়ি সদর উপজেলার হরিদাসপুর পূর্বপাড়ায়। তাঁর বাবার নাম মৃত ইউসুফ মোল্লা। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নিপা বেগম (২৫) দীর্ঘদিন ধরে তপন রঙ্গের ভাড়া করা মনোরমা রাইস মিলে কাজ করে আসছিলেন। তিনিও তাঁর (স্ত্রীর) সঙ্গে সেখানে থাকতেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে ওই রাইস মিলকর্মী নিপা বেগম তাঁর তিন সন্তান ও স্বামী নূর ইসলামকে নিয়ে রাইস মিলের বয়লারের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ফুট দূরে একটি টিনের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরে হঠাৎ রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। বয়লারটি ভেঙে ওই ঘরের উপর আছড়ে পড়ে। এ সময় ঘরটিতে চাপা পড়ে নূর ইসলাম মোল্লা মারা যান এবং তাঁদের দুই সন্তান আহত হয়। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও অপর এক সন্তান ঘরের বাইরে থাকায় রক্ষা পায়।
ঘটনার পর গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে এবং রোমানা ও মোস্তাকিমকে আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে রোমানাকে খুলনায় পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম ইকবাল হোসেন মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানান, বয়লার বিস্ফোরণে নিহত নূর ইসলাম মোল্লার মাথার পেছনের অংশ থেতলে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি মো. জাবেদ মাসুদ জানিয়েছেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তের জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’