বিএনপিনেতাসহ পাঁচজনের নামে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মামলা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিরাপদ দাস।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে তাড়াশ থানায় মামলাটি করা হয়।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের এজিএম রাব্বুল হাসানসহ কর্মচারীদের ওপর হামলা, গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা দুই লাখ টাকা, মোবাইল ফোনসহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, তাঁর ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর, ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম, ভাতিজা সাব্বির খন্দকার ও শিশির খন্দকার।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১২ জুন তাড়াশ জোনাল অফিসের জুন ক্লোজিং মাসের সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষে পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় এজিএম রাব্বুল হাসানের নেতৃত্বে বকেয়া বিল উত্তোলনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একপর্যায়ে জিকেএস হাসপাতালে তিন মাসের বকেয়া সর্বমোট ৪৪ হাজার ২৫৭ টাকা আদায়ের জন্য গেলে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বিল পরিশোধের জন্য দুই ঘণ্টা সময় নেন। দুই ঘণ্টা পর বিল চাইতে গেলে তিনি বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ও তাঁর ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর বকেয়া বিলের তালিকাসহ অন্যান্য কাগজপত্র কেড়ে নেন। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী, লাইন শ্রমিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ফোল্ডিং স্টিক ছিনিয়ে নেন এবং গালাগাল করেন।
এরপর সেলিম জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম ও তাঁর দুই ছেলে একত্রিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বকেয়া বিল উত্তোলন কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের উপর দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। হামলায় এজিএম রাব্বুল হাসান, মিটার রিডার মোস্তফা কামাল, টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা চলাকালে এজিএম রাব্বুল হাসানের হাতে থাকা ৮৩ জন গ্রাহকের জমা করা বকেয়া বিলের দুই লাখ টাকা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক লাইনের কাজে ব্যবহৃত মালামালা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার বিল পরিশোধ আছে। তার পরও আমার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসে তারা। আমি বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। তারপর শুনলাম আমিসহ আমার ছেলে, ভাই ও দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’