প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেজিস্টার্ড আইটি ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি রয়েছে। তাদের আরও দক্ষ ও উন্নতকরণে সহায়তাকল্পে একটি নতুন ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। কাতারে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ পঞ্চম সম্মেলনে ‘স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটির জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ’ শীর্ষক সম্মেলনে ভাষণের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার (১৪ জুন) সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উপস্থাপিত সরকার দলীয় বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে সুইজারল্যান্ডে রয়েছেন।  

লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার জন্য আইটি দক্ষতার উন্নয়ন আমাদের সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড স্কুল প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছি। এছাড়া একনেক ও মন্ত্রিপরিষদে ইনস্টিটিউট অব ন্যানো টেকনোলজি প্রতিষ্ঠার প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি প্রকল্পের আওতায় ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশে পিএইচডির জন্য মাসিক ৪০ হাজার টাকা, পিএইচডি পরবর্তী মাসিক ৪৫ হাজার টাকা, বিদেশে (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের দেশগুলোতে) এমএস অথবা পিএইচডির জন্য মাসিক এক লাখ ২০ হাজার এবং অন্যান্য দেশে এমএস অথবা পিএইচডির জন্য মাসিক ৬৫ হাজার টাকা হারে লিভিং অ্যালাউন্স প্রদান করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট থেকে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের ১ জুন পর্যন্ত এমএস বাৎসরিক ৫৪ হাজার টাকা, এম ফিল প্রথম বর্ষ ৬৮ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় বর্ষ ৯৯ হাজার টাকা এবং পিএইচডি তিন লাখ (নবায়ন সাপেক্ষে তিন বছর) টাকা হারে মাসিক লিভিং অ্যালাউন্স প্রদান করা হয়েছে।’