বিএনপিনেতার মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদের মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিলু রায়ের হাতে দেওয়া হয়।
এরপর বিএনপিনেতারা সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির জেলানেতা মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদের একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিসজনিত রোগে আক্রান্ত। তাঁকে হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে অন্তরীণ রাখা হয়েছে। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
বিএনপি নেতারা আরও বলেন, বর্তমানে মহিউদ্দিন আহম্মেদ গুরুতর স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে রয়েছেন। যদি তাঁর কোনো দুর্ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে—এ জন্য বর্তমান সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী থাকবে। অতি দ্রুত তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তাঁরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আজগর রিপন মল্লিক, যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম ইরাদত মানু, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম স্বপন, বিএনপিনেতা ভিপি শাহীন, পঞ্চাসার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন, যুবদলনেতা মজিবুর দেওয়ান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা, শ্রমিকদলনেতা শামসুল হক সরকার, সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন আহম্মেদ, শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম খান প্রমুখ।
গত ১ জুন অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরি, সংরক্ষণ ও বিপণনের অভিযোগে করা দুটি মামলায় এবং একটি রাজনৈতিক সহিংসতার মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদকে শহরের উপকণ্ঠের মুক্তারপুরের গোসাইবাগ এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তর করে। এদিকে গত ২০ জুন উচ্চ আদালত থেকে দুটি মামলায়ই জামিন পান তিনি।