নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার দাবিতে আ.লীগের মানববন্ধন
নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন রানাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে দক্ষিণ বিশিউড়া সড়কে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগের দাবি বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রানা দাঙ্গাবাজ। তিনি সন্ত্রাসী ও অবৈধ পন্থায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ সময় বক্তব্য দেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. লাল মিয়া, সাধারণ সস্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল রহমান মাস্টার, সাবেক চেয়াম্যান আবুল কালাম, ডা. বজলুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টিটু মিয়া, সাবেক যুবলীগনেতা মোস্তাক আহম্মদসহ স্থানীয় নেতারা। এর আগে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, বর্তমান চেয়াম্যান মো. নাসির উদ্দিন রানা গত ২৫ মে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার লোকজন দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। সে হামলায় আহত ২২ জন বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালসহ ভারতে চিকিৎসাধী। এ ব্যাপারে যুবলীগনেতা সিদ্ধান্ত শংকর পাল, চল্লিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হাসান আকন্দ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগনেতা শাকিল হাসান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চেয়ারম্যানসহ তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করেছেন।
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন রানাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
গত ১৩ মার্চ এই ইউনিয়নের বিএনপিপন্থী সাবেক চেয়ারম্যানের মৃত্যু হয়। পরে উপনির্বাচন দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই উপনির্বাচনে ঢোল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী নাসির উদ্দিন রানা ৫০০ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুর রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নিজেকে আওয়ামী পন্থী দাবি করলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা তা অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন রানার মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।