৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, সাবেক নাজিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজস্ব আয়ের প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর পবা উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক নাজির কাম হিসাবরক্ষক কাজেম আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার (৩০ জুলাই) দুদক রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজেম আলী পবা উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম হিসাবরক্ষক থাকার সময় ডিসিআরের মাধ্যমে আদায় করা রাজস্বের অর্থ ট্রেজারি চালান জালিয়াতি এবং টাকার অংক গরমিল করে মোট আদায় থেকে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া সরকারি চালান জালের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব থেকে আরও নয় লাখ ২৬ হাজার ২৮১ টাকা আত্মসাৎ করেন।
কাজেম আলী ২০১০ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা ভূমি অফিসের নাজিম কাম হিসাবরক্ষক থাকার সময় ডিসিআর (সরকারি রাজস্ব খাত) বাবদ মোট ৮৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ টাকা সরকারি চালানের মাধ্যমে আদায় করেন। এই টাকার মধ্যে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন। বাকি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় প্রথমে নজরে আসে।
প্রাথমিক অভিযোগের পর দুদকের অনুসন্ধানে এই বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে আজ রোববার রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কাজেম আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(এ) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আমির হোসাইন জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাজেম আলী পবা উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম হিসাবরক্ষক থাকার সময় রাজস্ব বিভাগের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি অনুসন্ধানে শনাক্ত হলে তাকে বদলি করে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক করা হয়। সম্প্রতি কাজেম আলী অবসর প্রস্তুতি ছুটিতে গিয়েছেন।