মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চান প্রয়াত নায়ক মান্নার স্ত্রী
২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের অবহেলায় এই অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে মামলা করে তার স্বজনেরা। দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এই মামলার এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। এর জেরে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মান্নার স্ত্রী শেলী কাদের।
আজ রোববার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শেলী কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেছি। তা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আমি মান্না হত্যার বিচার চাই। ন্যায় বিচার চাই। মান্না হত্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালে মামলা করেন মান্নার শ্যালক রেজা কাদের। পরে, এ মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে চিকি’ৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়। এর প্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরদিনই আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের জন্য যায়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন।
ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসর্পণ করলে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে স্বাক্ষর করে জামিন পান। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ অক্টোবর ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিশেষ দায়রা জজ ফিরোজ আলম। সাক্ষ্যগ্রহণের দিনও ধার্য করা হয়। তবে, সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য থাকা দিনেই সংশ্লিষ্ট বিচারক বদলি হয়ে যান। থেমে যায় সাক্ষ্যগ্রহণ।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। কিন্তু, সেই রিট আবেদনের শুনানিও শুরু করছেন না আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ২০১১ সালে শুনানির জন্য ১৫ কার্যদিবস ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষ শুনানি না করে সময়ক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ করেন মান্নার মামলার আইনজীবী ড. ব্যারিস্টার খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুল হুদা।