সাঈদীর সমর্থক তারেক-ফখরুলের রাজনীতি করার অধিকার নেই : জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেছেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর পক্ষে সাফাই গাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তারা।
জাসদ নেতারা বলেন, “একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে খুন-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার অনুষ্ঠিত হয়। এ আদালত অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষদের উপস্থিতিতে সাক্ষীদের দীর্ঘ সাওয়াল জবাব, আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত করে কুখ্যাত রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু, বিএনপির তারেক-ফখরুলরা এ বিচারকে ‘রাজরোষ’ অভিহিত করে দেশের আইন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে অস্বীকার করেছে এবং বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। আমৃত্যু সাজাভোগী ৮৪ বছর বয়সী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হার্ট অ্যাটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুকে চিকিৎসাবিহীন মৃত্যু বলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করেছে তারেক-ফখরুল।”
যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজরোষ, স্বাভাবিক মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ‘ইসলামী স্কলার’ অভিহিত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাসদ নেতারা। তারা বলেন, ‘তারেক-ফখরুলরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, জাতির পিতা, আইন-কানুন, বিচার ব্যবস্থা কিছুই মানেন না।’
জাসদ নেতারা আরও বলেন, ‘এরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আদিশত্রু রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধী জামাতের সঙ্গী আশ্রয়-প্রশ্রয়-মদদাতা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাজাখাটা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে প্রকাশ্যে সমর্থনদানকারী দল বিএনপি এবং এ দলের নেতা তারেক-ফখরুলের বাংলাদেশের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।’