সুনামগঞ্জে হত্যা মামলার আপস বৈঠকে মামার হাতে ভাগ্নে খুন
সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই বছর আগের একটি হত্যা মামলার আপস মীমাংসা করতে গিয়ে আরও একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আপন মামার হাতে প্রাণ গেছে ভাগনের।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দুইটার দিকে ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বানায়ত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাগনের নাম সাদির আহমদ (৩০)। তিনি বানায়ত গ্রামের মো. মনর আলীর ছেলে৷ হত্যাকারী মামা একই ইউনিয়নের মনছব আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বানায়ত গ্রামে সোমবার মধ্যরাতে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হত্যাকারী মনছব আলী ও নিহত ভাগনে সাদির দুই বছর আগের একটি হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। টাকা পয়সার মাধ্যমে আপস করার সময় টাকা দেওয়া নিয়ে বৈঠকে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হলে একপর্যায়ে সাদির বাবার গায়ে লাঠির আঘাত লাগে। এটা দেখে সাদির লাঠি নিয়ে তার মামাকে মারতে যায়। তখন তার মামাসহ অন্য আসামিরা সাদিরকে কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করলে ঘটনাস্থলেই সাদির লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মামাসহ অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ছাতক-দোয়ারাবাজার রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, আমরা ঘটনার পরপরই বৃষ্টিতে ভিজে সারা রাত আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে রাখা আছে।