মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শিশুসহ চারজন গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশুসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে বকুলতলা-সোলারচর সড়কে সংঘর্ষ বাধে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ, দাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
গুলিবিদ্ধরা হলো—তাবাসুম (৭ মাস), তার চাচা মো. জুয়েল (২৭) ও জয় (২০), মিশুক চালক জহিরুল ইসলামকে (৩২)। জহিরুলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিদের সেখানে নেওয়া হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগনেতা আলী হোসেনের সমর্থক জয় গ্রাম থেকে বিতাড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামে এলে জয় মাস্তানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে আওয়ামী লীগনেতা সুরুজ হোসেনের লোকজন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরই মধ্যে জেলা শহর থেকে মিশুকে করে জুয়েল তার ভাতিজি শিশু তাবাসুমকে নিয়ে সোলারচর গ্রামে ফিরছিলেন। তারা সংঘর্ষের মাঝখানে পড়লে গুলিবিদ্ধ হন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ডা. এস এম ফেরদৌস জানান, চারজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে সাত মাসের এক শিশু ছিল।
আলী হোসেনের কাছে ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার সমর্থক জয় গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে ও কোপায়। তাদের গুলিতে মিশুকে থাকা যাত্রী ও মিশুকচালক গুলিবিদ্ধ হয়।’
এ বিষয়ে আধারা মো. সুরুজ হোসেনের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই তা বন্ধ পাওয়া গেছে। ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো উত্তর আসেনি।
সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই গ্রুপের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।’